Class Nine Geography 7th Chapter :- Indian Resources // নবম শ্রেণী :- সপ্তম অধ্যায় :- ভারতের সম্পদ

নবম শ্রেণী :- সপ্তম অধ্যায় :- ভারতের সম্পদ 




বিভাগ-ক

সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখ (প্রতিটি প্রশ্নের মান 1)

১.'সম্পদের' প্রথম সঠিক সংজ্ঞা দেন- ক)জিমারম্যান খ) ডেভিস গ) উইলসন ঘ) ওয়েবার।
উত্তর :-ক) জিমারম্যান

২.ভারতের জাতীয় বিদ্যুৎ সংস্থা  NTPC স্থাপিত হয় - ক) 1978 সালে  খ ) 2005 সালে গ )1972 সালে ঘ ) 1975 সালে।
উত্তর:- ঘ)1975 সালে

৩.সম্পদ সৃষ্টির প্রধান উপাদান - ক )একটি  খ )দুটি গ )তিনটি ঘ)চারটি ।
উত্তর :-গ)তিনটি

৪.অবাধ সম্পদের উদাহরণ হল :- ক )কয়লা খ )পেট্রোলিয়াম গ )সূর্যকিরণ ঘ) অভ্র
উত্তর:- গ)সূর্যকিরণ

৫.ব্যক্তিগত সম্পদের একটি উদাহরণ হল -ক )গাড়ি খ )হাসপাতাল গ )জাতীয় সড়ক ঘ )রেল পরিষেবা ।
উত্তর :-ক )গাড়ি

৬.বস্তুগত একটি সম্পদ হলো- ক )জল খ )শিক্ষা গ )বিজ্ঞান ঘ )জনসংখ্যা ।
উত্তর:- ক )জল

৭.লৌহ আকরিক উৎপাদনে ভারতের প্রথম স্থান অধিকার করে - ক )গোয়া খ )ছত্রিশগড় গ )ঝাড়খন্ড ঘ )উড়িষ্যা।
উত্তর :-ঘ )উড়িষ্যা

৮.গুজরাটের একটি তৈল শোধনাগার এর নাম হল - ক )কয়ালি খ )নুনমাটি গ )সরগুজা ঘ )তালচেরা ।
উত্তর:-ক)কয়ালি

৯.সবচেয়ে উন্নত মানের লোহা আকরিকের নাম - ক )সিডেরাইট খ) অ্যানথ্রাসাইট গ )ম্যাগনেটাইট ঘ )পিট ।
উত্তর :-গ )ম্যাগনেটাইট

১০.ভারত থেকে সর্বাধিক লৌহ আকরিক রপ্তানি করা হয় - ক )ইতালিতে খ )জার্মানিতে গ )জাপানে ঘ )চীনে ।
উত্তর :-গ )জাপানে

১১.ভারতের বৃহত্তম কয়লা খনি অঞ্চল হল -ক )রানীগঞ্জ খ )ঝরিয়া গ )আমেদাবাদ ঘ )মুর্শিদাবাদ ।
উত্তর :-খ )ঝরিয়া

১২.সবচেয়ে উচ্চমানের কয়লা হল -ক )অ্যানথ্রাসাইট খ )বিটুমিনাস গ )লিগনাইট ঘ )সিডেরাইট  ।
উত্তর :-ক )অ্যানথ্রাসাইট

১৩.তরল সোনা' বলা হয় - ক )কয়লাকে খ )খনিজ তেলকে গ )আকরিক লোহা কে ঘ )অভ্র কে ।
উত্তর :-খ )খনিজ তেলকে

১৪.অপ্রচলিত শক্তির উৎস হল - ক )কয়লা খ ) সৌরশক্তি গ )খনিজ তেল ঘ ) লোহা ।
উত্তর :-খ )সৌরশক্তি

১৫.পশ্চিমবঙ্গের একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হল - ক )মাইথন খ )পাঞ্চেৎ গ ) ব্যান্ডেল ঘ)তারাপুর
উত্তর :-গ) ব্যান্ডেল

১৬.সম্পদের প্রকৃত জননী - ক )প্রকৃতি খ )মানুষের জ্ঞান গ ) মানুষ   ঘ) পৌনঃপুনিকতা। 
উত্তর :-খ)মানুষের জ্ঞান

১৭.ভারতের বৃহত্তম তৈল শোধনাগার হল - ক ) কয়ালি খ )ডিগবয় গ )জামনগর ঘ )বারাউনি।
উত্তর:-গ)রামনগর

১৮.যে কয়লা দহনে ধোঁয়াহীন নীলাভ অগ্নিশিখা বের হয় তা হল - ক )অ্যানথ্রাসাইট খ )বিটুমিনাস গ ) লিগনাইট ঘ )পিট ।
উত্তর :-ক)অ্যানথ্রাসাইট

১৯.ভারতের প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র টি গড়ে ওঠে - ক)ভাকরাতে খ) সিদ্রাপং-তে গ)মাইথনে ঘ) শিবসমুদ্রম-এ।
উত্তর:-খ) সিদ্রাপং-তে

২০.কোরবা কয়লাখনিটি - ক) ঝাড়খণ্ডের অন্তর্গত খ )ছত্রিশগড়ের অন্তর্গত গ )উড়িষ্যার অন্তর্গত ঘ)পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত ।
উত্তর :-খ)ছত্রিশগড়ের অন্তর্গত

২১.সম্পদের কার্যকারিতা তত্ত্ব প্রথম উপস্থাপনা করেন - ক)মার্শাল খ )হ্যামিলটন গ)মিডোস ঘ) জিমারম্যান ।
উত্তর :-ঘ)জিমারম্যান

২২.শ্রমিকের দক্ষতা কোন ধরনের সম্পদ -ক )সম্ভাব্য সম্পদ খ)অবস্তুগত সম্পদ গ)বস্তুগত সম্পদ ঘ)নিরপেক্ষ সম্পদ ।
উত্তর :-খ)অবস্তুগত সম্পদ

২৩.সম্পদের কার্যকারিতা -ক) স্থিতিশীল খ) গতিশীল গ) নিরপেক্ষ ঘ) সবগুলি ঠিক।
উত্তর :-খ)গতিশীল

২৪.জনবিরলতা হলো সম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে এক ধরনের -ক) প্রাকৃতিক বাধা খ) সাংস্কৃতিক বাধা গ) মানবিক বাধা ঘ)আর্থিক বাধা ।
উত্তর :-গ)মানবিক বাধা

২৫.একটি জাতীয় সম্পদের উদাহরণ হল - ক) কৃষিজমি খ) সৌর কিরণ গ) বাতাস ঘ)জল ।
উত্তর :-ক)কৃষি জমি

২৬.কোন দেশে 1992 সালে বসুন্ধরা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল -ক) জার্মানি খ) কানাডা গ) ব্রাজিল ঘ)ফ্রান্স ।
উত্তর:-গ) ব্রাজিল( রিও-ডি- জেনিরো শহরে)

২৭.'World Resource and Industres' গ্রন্থটি কার লেখা ?- ক)মার্শাল খ)জিমারম্যান গ)মিচেল ঘ)থমসন।
উত্তর:-খ) জিমারম্যান।




বিভাগ -খ

বাক্যটি 'সত্য' হলে ঠিক এবং 'অসত্য' হলে ভুল লেখা (প্রতিটি প্রশ্নের মান 1)
১.সম্পদের উপযোগিতা আছে কিন্তু কার্যকারিতা নেই ।
উত্তর:- ভুল।

২.কুমেরু মহাদেশ, ওজোন স্তর, আন্তর্জাতিক সমুদ্র পথ, প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সম্পদ।
উত্তর:- ঠিক।

৩.জল ও বাতাস হল প্রাথমিক সম্পদ ।
উত্তর :-ঠিক।

৪.খনিজ তেল উৎপাদনে ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে ।
উত্তর :-ভুল।

৫.ভারতের বৃহত্তম খনিজ তেল অনুসন্ধান সংস্থা  ONGC (Oil and Natural Gas Corporation)।
উত্তর :-ঠিক।

৬.মহারাষ্ট্রের একটি প্রধান খনিজ তৈল শোধনাগার হল কয়ালি ।
উত্তর:- ভুল।

৭.1990 সালে কেরলে এর কোঝিকোড়ে প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠে ।
উত্তর:- ঠিক।

৮.কয়লা উৎপাদনে ভারতের স্থান পৃথিবীতে তৃতীয় ।
উত্তর:-ঠিক।

৯.ভাঁজের ঊর্ধ্ব ভঙ্গের সঞ্চিত খনিজ তেলকে বলে Oil Pool ।
উত্তর :-ঠিক।

১০.ONGCর সদর দপ্তর দিল্লি।
উত্তর:- ভুল



 উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর (প্রতিটি প্রশ্নের মান 1)

১.ব্যবহারে ফুরিয়ে যায় এমন সম্পদকে ________সম্পদ বলে।
উত্তর:- গচ্ছিত সম্পদ বা ক্ষয়িষ্ণু সম্পদ বা অপুনর্ভব সম্পদ।

২.ভারতের_________ যুগের কয়লা উত্তোলন বেশি।
উত্তর:- গন্ডোয়ানা।

৩.ভারতের প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয় __________রাজ্যে।
উত্তর:- পশ্চিমবঙ্গ।

৪.ভারতের সঞ্চিত আকরিক লোহার বেশিরভাগ _________ শ্রেণীর ।
উত্তর :-হেমাটাইট।

৫.ভারতের বৃহত্তম সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র টি হল _________।
উত্তর:-কামুথি।

৬.ক্রায়োলাইট নামক খনিজ টি একমাত্র পাওয়া যায় ___________।
উত্তর:- গ্রিনল্যান্ডে।

৭._________ভারতের বৃহত্তম লিগনাইট খনি।
উত্তর:- নিয়েভেলি।(এটি তামিলনাড়ুতে অবস্থিত)

৮.বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান অঞ্চলে অবস্থিত তৈলখনির নাম ______।
উত্তর:-PY-6।

৯._________ ভারতের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ।
উত্তর:- মহারাষ্ট্রের তারাপুর।

১০.Santaldih একটি __________কেন্দ্র ।
উত্তর:- তাপবিদ্যুৎ।



বাঁ দিকের সাথে ডান দিক মিলিয়ে দেখাও (প্রতিটি প্রশ্নের মান 1)

১.


বাম দিক
ডানদিক
1)আঙ্কেলেস্বর
ক) লাম্বা
2)বায়ু বিদ্যুৎ
খ) পারমাণবিক বিদ্যুৎ
3)তারাপুর
গ) সঞ্চিত সম্পদ
4)কয়লা
ঘ) জলবিদ্যুৎ
5) হিরাকুঁদ
ঙ) তৈল ক্ষেত্র


উত্তর:-1-ঙ,2-ক,3-খ,4-গ,5-ঘ

২.


বাম দিক
ডানদিক
1)তরল সোনা
ক) জলবিদ্যুৎ
2)কালো হীরা
খ) পেট্রোলিয়াম
3) সেত কয়লা 
গ) কয়লা



উত্তর:-1-খ,2-গ,3-ক।







একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও (প্রতিটি প্রশ্নের মান 1)


১.ভারতের কোথায় প্রথম কয়লা উত্তোলন করা হয় ?
উত্তর :-ভারতে 1774 সালে রানীগঞ্জের শ্রীরামপুরে সর্বপ্রথম কয়লা উত্তোলন করা।

২.Resource বা সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর :-জিমারম্যানের মতে ,সম্পদ হলো বস্তুর শক্তি যা মানুষের অভাব মোচন করে ,চাহিদা মেটায় অর্থাৎ সম্পদ কোন বস্তু বা পদার্থ নয় ,বস্তু বা পদার্থের মধ্যস্থিত কার্যকারী শক্তি।

৩.সম্পদের প্রকৃত জননী কাকে বলা হয়?
উত্তর:- মানুষের জ্ঞান কে সম্পদের প্রকৃত জননী বলা হয়।

৪.সম্পদের কার্যকারিতা তত্ত্ব প্রথম উপস্থাপন করেন কে?
উত্তর:- জিমারম্যান।

৫.NHPC- National Hydroelctric Power Corporation  সংস্থার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর:- হরিয়ানার ফরিদাবাদে অবস্থিত।

৬.'জ্ঞানই সকল সম্পদের সৃষ্টিকর্তা'- এ কথা কে বলেছিলেন ?
উত্তর :-মিচেল।

৭.ক্রায়োলাইট কে অন্যান্য সম্পদ বলার কারণ কি?
উত্তর :-এটি পৃথিবীর একটি মাত্র স্থানে পাওয়া যায় তাই একে অন্যান্য সম্পদ বলা হয়।

৮.'World Resource and Industries' গ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর:- জিমারম্যান।

৯.যে সকল সম্পদ কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকে না তাদের কি সম্পদ বলা হয়?
উত্তর :-সর্বত্র প্রাপ্ত সম্পদ।

১০.পৃথিবীর বৃহত্তম তামার খনি কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর :-চিলিতে।

১১.ভারতের প্রথম পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র টির নাম কি ?
উত্তর :-তারাপুর।

১২.ভারতের সবচেয়ে দামি কয়লা কোথায় সঞ্চিত আছে?
উত্তর:- দামোদর উপত্যকায়।

১৩.কোন ধরনের কয়লার রং বাদামি হয়?
উত্তর :-লিগনাইট।

১৪.ভারতের বৃহত্তম তামার খনি রাজস্থানে কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :- ক্ষেত্রিতে ।

১৫.কোক কয়লা কাকে বলে ?
উত্তর:- অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে  কোক ওভেনে 1000 থেকে 1100 ডিগ্রী সে. উষ্ণতায় কয়লাকে তরলে পরিণত করা  হয় ।বজ্যহীন এই তরলকে কঠিন টুকরোয় পরিণত করাকে কোক কয়লা বলে ।




বিভাগ-গ

সংক্ষিপ্ত-উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান 2)


১.সম্পদের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ ?
উত্তর:- সম্পদের বৈশিষ্ট্য গুলি হল -কোন বস্তু বা পদার্থের (i)কার্যকারিতা (ii) অভাব মোচনের ক্ষমতা।

২.কয়লার উপজাত দ্রব্য গুলি কি কি ?
উত্তর :-কয়লা থেকে নানান উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায় ।যেমন- অ্যামোনিয়া ,গন্ধক ,আলকাতরা, ন্যাপথলিন ,জ্বালানি তেল প্রভৃতি।

৩.সাগর সম্রাট কি ?
উত্তর :- মুম্বাই শহরের 160 কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আরব সাগরে অবস্থিত বোম্বে হাই অঞ্চলের খনিজ তেল উত্তোলনকারী একটি ভাসমান প্ল্যাটফর্ম বা জাহাজ এর নাম সাগর সম্রাট।

৪.তরল সোনা কি ?
উত্তর :- বর্তমানে পেট্রোলিয়াম এর গুরুত্ব এতই বেশি যে একে তরল সোনা নামে অভিহিত করা হয়।

৫.খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্যের নাম লেখ ?
উত্তর:- (i) পীচ এবং (ii)ন্যাপথা।

৬.সম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা গুলি কি কি ?
উত্তর:- বিভিন্ন কারণে সম্পদের সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় ।যেমন -(i)সম্পদের ভবিষ্যৎ যোগান  অব্যাহত রাখা। (ii) প্রবাহমান সম্পদকে দূষণমুক্ত রাখা । (iii)পরিবেশকে দূষণমুক্ত করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা। (iv) জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ করা । (v)ভাবি প্রজন্মকে সংকটের হাত থেকে রক্ষা করা প্রভৃতি।

৭.ভারতের প্রথম কোথায় বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠে ? ভারতের বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র টির নাম কি?
উত্তর :-1990 সালে কেরলের কোঝিকোড়ে  প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠে। ভারতের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র মুপানদাল।

৮.টারশিয়ারি যুগের কয়লা পশ্চিমবঙ্গের কোথায় দেখা যায় ?ভারতের বৃহত্তম লিগনাইট কয়লা খনি  কোনটি ?
উত্তর :-পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার বাগরাজকোট ও তিনধারিয়াতে টারশিয়ারি যুগে দেখা যায় ।তামিলনাড়ু নেভেলি ভারতের বৃহত্তম লিগনাইট খনি।

৯.গন্ডোয়ানা ও টারশিয়ারি যুগের কয়লা কাকে বলে?
উত্তর :-কার্বনের পরিমাণ অনুযায়ী  কয়লার যেমন শ্রেণীবিভাগ করা যায় ,তেমনি ভারতে কয়লা সৃষ্টির সময়কাল ধরেও কয়লা শ্রেণীবিভাগ করা হয়। আআনুমানিক  28 থেকে 30 কোটি বছর আগে সৃষ্টি কয়লা গন্ডোয়ানা যুগের কয়লা নামে পরিচিত এবং আনুমানিক 7 থেকে 8 কোটি বছর আগের সৃষ্টি  কয়লা টারশিয়ারি যুগের কয়লা নামে পরিচিত।

১০.ভারতের গন্ডোয়ানা যুগের কয়লা ও টারশিয়ারি যুগের কয়লা কি প্রকৃতির?
উত্তর :- গন্ডোয়ানা যুগের কয়লা বিটুমিনাস ও অ্যানথ্রাসাইট প্রকৃতির, এবং টারশিয়ারি যুগের কয়লা লিগনাইট প্রকৃতির।



বিভাগ - ঘ

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা মূলক উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান 3)

১.সম্পদ সৃষ্টির উপাদান গুলির সংক্ষেপে বিবরণ দাও ।
উত্তর :-প্রকৃতি (Nature)মানুষ (Man)ও সংস্কৃতি (Caplet)এই তিনটির সমষ্টি তে সম্পদ সৃষ্টি হয় ।
ক)প্রকৃতি :-প্রকৃতি সম্পদ সৃষ্টির মূল উপাদান। জিমারম্যানের মতে 'প্রকৃতির সাহায্য ,নির্দেশ ও অসম্মতি নিয়ে সম্পদ সৃষ্টি হয় '।এক্ষেত্রে অনুঘটক প্রয়োজন মানুষ ও সংস্কৃতি ।
খ)মানুষও সম্পদ সৃষ্টির অন্যতম উপাদান । মানুষের ভোগের  মাধ্যমেই সম্পদের সার্থকতা । মানুষ আপন পরিশ্রম ও বুদ্ধির বলে প্রাকৃতিক বস্তুকে সম্পদে পরিণত করে। যেমন -প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও যেতে যেতে জয় রাধে মানুষের চেষ্টায় রবার উৎপাদিত হচ্ছে।
গ) সংস্কৃতি :-জিমারম্যানের ভাষায়-' শিক্ষা ,অভিজ্ঞতা ,ধর্ম ,সভ্যতা, রুচি ,ন্যায়বিচার এগুলি এই সংস্কৃতি '।প্রাকৃতিক বস্তু কে মানুষ সংস্কৃতি দ্বারা সম্পদে পরিণত করছে।


২.পূর্নভব বা প্রবাহমান (Renewable or Flow Resource) সম্পদ কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ?
উত্তর:- প্রকৃতিতে এমন কিছু সম্পদ রয়েছে যাকে কোনদিন ব্যবহার করে শেষ করা যাবে না অর্থাৎ যার কোন শেষ নেই তাদের প্রবাহমান সম্পদ  বলে ।
বৈশিষ্ট্য- 1 )প্রকৃতি-পরিবেশে বরাবর ফিরিয়ে দেয়, তাই একে পূর্নভব সম্পদ বলে। 2) প্রবাহমান সম্পদ পৃথিবীর সর্বত্র প্রাপ্য ।3 )প্রবাহমান সম্পদ কোন পরিবেশ দূষণ করে না। উদাহরণ- বাতাস,সৌরকিরণ, সমুদ্রস্রোত ইত্যাদি।

৩.অপূর্ণভব বা গচ্ছিত (Non Renewable or Fund Resource) সম্পদ কাকে বলে ?এর বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ?
উত্তর:- প্রকৃতিতে যে সব সম্পদের ব্যবহার সীমিত ও সুনির্দিষ্ট এবং যে সম্পদ ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে শেষ হয়ে যায় তাকে গচ্ছিত বা অপূর্ণভব সম্পদ বলে।
বৈশিষ্ট্য :-1 )এসম্পর্কে কৃত্রিমভাবে তৈরি করে পরিবেশের ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। 2 )গচ্ছিত সম্পদের পরিবেশ দূষণ ব্যাপক হয় ।উদাহরণ- কয়লা,লোহা, খনিজ তেল ইত্যাদি।


৪.জৈব সম্পদ ও অজৈব সম্পদের পার্থক্য লিখ।
উত্তর :-

বিষয়
জৈব সম্পদ
অজৈব সম্পদ
সংজ্ঞা
যে সকল সম্পদ জীবজগৎ থেকে আরোহন করা হয় ,তাকে জৈব সম্পদ বলে।
যে সকল সম্পদ জীবজাত  নয়, তাকে অজৈব সম্পদ বলে।
প্রকৃতি
এই সম্পদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুনর্নবীকরণ সম্পদ।
এই সম্পদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রবাহমান সম্পদ।
দূষণ
এই সম্পদ ব্যবহারে পরিবেশের দূষণ কম হয়।
ব্যাপক পরিবেশ দূষণ হয় ।যেমন -জলদূষণ।
উদাহরণ
মৎস্য ও দুগ্ধ
জল ও  লৌহ আকরিক





৫.সম্পদের কার্যকারিতা তত্ত্বটি লেখ ?
উত্তর:- 1933 সালে অধ্যাপক জিমারম্যান সম্পদের কার্যকারিতা তত্ত্বটি দেন ।মানুষের কাছে কোন প্রয়োজনীয় বস্তু  প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠার কারণ ও পর্যায় ব্যাখ্যা করা হলো সম্পদের কার্যকারিতা তত্ত্বের মূল কথা। মানুষের চাহিদা ,সাংস্কৃতিক, স্তর ও অর্থ সামাজিক লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে সম্পদ তৈরি হয়। আর মানুষের শ্রম, দক্ষতা, জ্ঞান-গবেষণা সম্পদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।


৬.চিরাচরিত ও অচিরাচরিত শক্তির মধ্যে পার্থক্য লেখ।
উত্তর :-
ভিত্তি
চিরাচরিত শক্তি
অচিরাচরিত শক্তি
উৎস
চিরাচরিত শক্তির উৎস কয়লা ,খনিজ তেল প্রভৃতি
অচিরাচরিত শক্তির উৎস বায়ুশক্তি ,জোয়ার ভাটা ও ভূতাপ শক্তি প্রভৃতি
ব্যবহার
পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই এ শক্তির ব্যবহার হয়
উন্নত দেশগুলিতে এর ব্যবহার
ব্যয়
এ শক্তির উৎপাদন ব্যয় বেশি
এই শক্তির উৎপাদন ব্যয় কম
দূষণ
শক্তি উৎপাদনের পরিবেশ ভীষণভাবে দূষিত হয়
এই শক্তি উৎপাদনে পরিবেশ দূষণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে



৭.কয়লার শ্রেণীবিভাগ করো অথবা ভারতের কয়লার শ্রেণীবিভাগ করো ।
উত্তর :-কার্বনের উপস্থিতির হার অনুসারে কয়লাকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায় ।যথা -
1) অ্যানথ্রাসাইট :- সবচেয়ে ভালো কয়লা এতে কার্বন থাকে শতকরা প্রায় 90 ভাগ ।
2) বিটুমিনাস :-মোটামুটি ভালো কয়লা এতে কার্বন থাকে শতকরা প্রায় 50 ভাগ থেকে 85 ভাগ ।
3) লিগনাইট :-নিম্নমানের কয়লা এতে কার্বন থাকে শতকরা প্রায় 35 ভাগ থেকে 50 ভাগ।
4) পিট:- এতে কার্বন থাকে শতকরা 35 ভাগএরও কম।


৮.আকরিক লোহার শ্রেণীবিভাগ করো ।
উত্তর :-খনি থেকে উত্তোলিত আকরিক লোহার মধ্যে কতটা পরিমাণ বিশুদ্ধ আছে সেই অনুসারে আকরিক লোহা কে চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয় ।যথা -
1) ম্যাগনেটাইট :-সর্বোৎকৃষ্ট আকরিক লোহা ।দেখতে কালো, এতে লোহা থাকে প্রায় 72 শতাংশ ।
2)হেমাটাইট :-দেখতে কিছুটা লালচে। এতে লোহা থাকে গড়ে 70 শতাংশ বা তার কম ।
3)লিমোনাইট :-দেখতে অনেকটা হলদে -বাদামি ।এতে লোহা থাকে গড়ে 60 শতাংশ।
4)সিডেরাইট:- এতে লোহার  ভাগ খুব কম 48 শতাংশ।


৯.সম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা গুলি লেখ। (Need for Conservation of Reaources)
উত্তর :-বিভিন্ন কারণে সম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় ।যেমন-
1 )সম্পদের ভবিষ্যৎ জোগান অব্যাহত রাখা ।
2 )গচ্ছিত সম্পদের আয়ু বৃদ্ধি করা।
3 )প্রবাহমান সম্পদকে দূষণমুক্ত রাখা।
4 )পরিবেশকে দূষণমুক্ত করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা।
5 )জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ করা।
6 )ভাবি প্রজন্মকে সংকটের হাত থেকে রক্ষা করা প্রভৃতি।


১০.সম্পদ সংরক্ষণের পদ্ধতি গুলি লেখ।(Methods of Resource Conservation)।
উত্তর :-প্রকৃতি ,প্রয়োজন ,পরিবেশ ,চাহিদা ,প্রয়োগ ,কৌশলের তারতম্য অনুসারে সম্পদ সংরক্ষণের আলাদা আলাদা পদ্ধতি রয়েছে ।যেমন-
1) সম্পদের অতি ব্যবহার কমানো।
2 )সম্পদের অপচয় রোধ করা।
3 )উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে খনিজ দ্রব্যের ব্যবহার ।
4) দ্রব্যের রূপান্তর ঘটিয়ে ব্যবহার ।
5 )জৈব সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি ।
6 )উৎপাদন ও ভোগ এর মধ্যে সমতা ।
7) সম্পদের কার্যক্ষমতা কে পরিপূর্ণ রূপে ব্যবহার।
8 )পূর্নভব সম্পদের  সময় ভিত্তিক ও পরিকল্পনা মাফিক ব্যবহার ।
9) অপূণভব বা ক্ষয়িষ্ণু সম্পদগুলোর বিকল্প ব্যবহার।
10 )সর্বোপরি সম্পদ সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রভৃতি।


১১.ভারতের তিনটি কয়লা খনি অঞ্চলের নাম লেখ ?
উত্তর:- ভারতের তিনটি কয়লা খনি অঞ্চল হল -
1) দামোদর উপত্যকা কয়লা বলয় -পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জ ,ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া প্রভৃতি।
2 ) মহানদী উপত্যকা কয়লা বলয় -উড়িষ্যার তালচের ,রামপুর এবং ছত্রিশগড়ের করবা ।
3) শোন উপত্যাকা কয়লা বলয় -মধ্যপ্রদেশের উমেরিয়া,  ছত্রিশগড়ের ঝিলিমিলি প্রকৃতি।


১২.ভারতের তিনটি খনিজ তেল উত্তোলন অঞ্চল এর পরিচয় দাও।
উত্তর :-ভারতের তিনটি খনিজ উত্তোলন অঞ্চল হল-
1) আসামের ঊর্ধ্ব ব্রহ্মপুত্র  উপত্যাকা :-এখানকার তেল উত্তোলনের কেন্দ্র গুলি হল ডিগবয়, নাহারকাটিয়া, রুদ্রসাগর, মোরণ ,বদরপুর প্রভৃতি ।
2) গুজরাট :-এখানকার তেলের খনি গুলি হল  আঙ্কেলেশর, কালোল, সানন্দা, কাথান প্রভৃতি।
3) মুম্বাই দরিয়া:- মহারাষ্ট্রের মুম্বাই বন্দর থেকে প্রায় 100 থেকে 200 কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।  বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম তৈল উৎপাদক অঞ্চল ,এটি সমুদ্র গর্ভের তেল খনি।



বিভাগ - ঙ

 ব্যাখ্যামূলক উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান 5)


১.জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুকূল ভৌগলিক পরিবেশ সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তর:- জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুকূল ভৌগলিক পরিবেশ কে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় -ক) প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং খ)  অপ্রাকৃতিক পরিবেশ।
ক) প্রাকৃতিক পরিবেশ

i ) বন্ধুর ভূপ্রকৃতি :-নদী খরস্রোতা না হলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় না। বন্ধু ভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত নদী খরস্রোতা হয় বলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযোগী।
ii )নিয়মিত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত বা বরফ গলা জলের সরবরাহ :-নদীতে যাতে সারা বছর বেশি জল থাকে, তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন অথবা নদীতে বরফ গলা জলের সরবরাহ থাকা দরকার।
iii )বরফ মুক্ত আবহাওয়া :- প্রচণ্ড ঠান্ডায়  জল জমে যাতে বরফে পরিণত না হয় ,সেই জন্য জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বরফ মুক্ত আবহাওয়া হওয়া প্রয়োজন।
iv )বনভূমির অস্তিত্ব :- নদীর উৎস অঞ্চলে বনভূমি থাকলে মৃত্তিকা ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ হয়। এছাড়া বনভূমি বৃষ্টিপাত কেউ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সংলগ্ন অঞ্চলে বনভূমি থাকলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা হয়।
v )ভূতাত্ত্বিক গঠন:- ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল নয় , কেবল ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে স্থিতিশীল অঞ্চলে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়।

) অপ্রাকৃতিক পরিবেশ

উল্লেখিত প্রাকৃতিক পরিবেশ ছাড়াও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কতগুলি অনুকূল অবস্থার প্রয়োজন , যেমন - 1)উন্নতমানের প্রযুক্তিবিদ্যা 2) পর্যাপ্ত মূলধন 3)নিকটবর্তী অঞ্চলে বিদ্যুৎ এর ব্যাপক চাহিদা 4 )খনিজ তেল ,কয়লা প্রভৃতি সম্পদের অভাব 5 )উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা 6 ) সুলভে দক্ষ শ্রমিক পাওয়ার সুবিধা প্রভৃতি।


২. দক্ষিণ ভারতের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি হয় কেন ?অথবা দক্ষিণ ভারতের জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা গুলি কি কি ?
উত্তর:- সাধারণ ভাবে দেখা যায় ভারতের মহারাষ্ট্র ,কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে তাপবিদ্যুৎ এর তুলনায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি হয়। এর কারণ-
1) দক্ষিণ ভারতের ভূপ্রকৃতি মালভূমি প্রধান অর্থাৎ বন্ধুর ।এইজন্য এখানকার  গোদাবরী, কৃষ্ণা ,কাবেরী প্রভৃতি নদীর খরস্রোত এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযোগী ।
2) যদিও নদীগুলি বরফ গলা জলে পুষ্ট নয়, দক্ষিণ ভারতের ভূমিরূপ ঢেউখেলানো বলে এখানে সহজে জলধারা নির্মাণ করে এই অসুবিধা দূর করা যায় ।
3 )দক্ষিণ ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প উৎস কয়লা বিশেষ পাওয়া যায় না।
4) দক্ষিণ ভারতে বিদ্যুতের যথেষ্ট চাহিদা আছে ।স্বাধীনতার পূর্বে কর্নাটকের শিবসমুদ্রম জলপ্রপাত স্থাপিত হয়।


৩. প্রচলিত শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখ?
উত্তর:- প্রচলিত শক্তির সুবিধা-
1 )জনপ্রিয় - ব্যবহারিক উপযোগিতা সবার জন্য থাকায় এটি জনপ্রিয়।
2) উৎপাদন খরচ কম -বহুল ব্যবহৃত শক্তি হওয়ায় উৎপাদন খরচ কম 
3 )উৎস আমদানি সহজ - শক্তির উৎস আমদানি করে শক্তি উৎপাদনের সহজ।
4 )অধিক ও দ্রুত শক্তি উৎপাদন- প্রচলিত শক্তি দ্রুত এবং পরিমাণে বেশি উৎপাদন সম্ভব।
5) প্রকৃতি নির্ভরতা কম -প্রচলিত শক্তি উৎপাদনের প্রকৃতির নির্ভরতা অনেকটা কম ।
প্রচলিত শক্তির অসুবিধা -
1) অধিক আরোহন ব্যয় -প্রচলিত শক্তির উৎসের আরোহন ব্যয় বেশি।
2) অধিক দূষণ -এই শক্তি উৎস গুলি পরিবেশের দূষণ মাত্রা বেশি। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জলের ব্যতিক্রম ।
3 )আঞ্চলিক বৈষম্য- প্রচলিত শক্তি আঞ্চলিক বৈষম্য সৃষ্টি করে ।
4)প্রযুক্তির অভাব- প্রযুক্তির অভাব যুক্ত  দেশে প্রচলিত শক্তির অনুসন্ধান ও উত্তোলন সম্ভব নয়।


৪. অপ্রচলিত শক্তির উৎসের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখ?
উত্তর:- অপ্রচলিত শক্তির সুবিধা - 
1) অফুরন্ত -শক্তির উৎস কখনো ফুরিয়ে যায় না ।
2)প্রয়োজনীয় উৎপাদন- প্রয়োজনীয় অনুযায়ী উৎপাদন করা সম্ভব ।
3)দূশন মাত্রা কম- শক্তি উৎপাদনের পরিবেশ দূষণ হয় না।
4) সংরক্ষণ সহায়ক -এই শক্তি প্রচলন বাড়ার সাথে প্রচলিত শক্তির উৎস সংরক্ষণ বাড়বে ।
5)সর্বত্র প্রাপ্যতা- পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই  শক্তির উৎস উপস্থিত আছে ।
6) ব্যয় কম - যন্ত্রাংশ রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এবং শ্রমিকের জন্য ব্যয় কম।

অপ্রচলিত শক্তি উৎসের অসুবিধা -
1) প্রযুক্তির অভাব - এই শক্তি উৎপাদনের প্রযুক্তি পৃথিবীর অল্প কয়েকটি দেশে পাওয়া যায়।
2 ) মোট উৎপাদন কম-  শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের মোট শক্তি উৎপাদন কম।
3) স্বল্প যোগান -শক্তি উৎপাদন গৃহস্থলী চাহিদা মেটাতে পারে কিন্তু বৃহৎ শিল্পের এই শক্তির উৎপাদন কেন্দ্র শক্তি যোগাতে পারে না।
4) অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা - বর্তমানে গড়ে তোলা উৎপাদন কেন্দ্রে অল্প কিছুদিন পর প্রাকৃতিক কারণে অকেজো হতে পারে ।
5)যান্ত্রিক ত্রুটি- যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা গেলে তখনই সরিয়ে ফেলার মত প্রযুক্তি উপস্থিত থাকে না ।
6)উৎসের অপ্রতুলতা -নাতিশীতোষ্ণ এবং বেশিরভাগ শক্তির উৎসের অভাব দেখা যায়।



*** সম্পদের শ্রেণীবিভাগ***
উত্তর:- সম্পদকে মূলত 8 টি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা -
1)সম্পদ সৃষ্টির উপাদান অনুসারে
2)সম্পদের স্থায়িত্ব অনুসারে
3) সম্পদের বৈশিষ্ট্য অনুসারে
4) সম্পদের অবস্থান অনুসারে
5) সম্পদের প্রাপ্তি বা অসম্মান বন্টন অনুসারে
6)  সম্পদের মালিকানা ভিত্তিতে
7) সম্পদের স্পর্শ যোগ্যতার ভিত্তিতে
8) সম্পদের উদ্ভব বা প্রাপ্তি অনুসারে 

১)সম্পদ সৃষ্টির উপাদান অনুসারে:- সম্পদ সৃষ্টির উপাদান অনুসারে সম্পদকে  মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় । যথা-

ক) প্রাকৃতিক সম্পদ - যে সকল সম্পদ প্রাকৃতি থেকে স্বাভাবিক ভাবে পাওয়া যায় তাকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে । উদাহরণ - সূর্যকিরণ, মাটি, জল, খনিজ পদার্থ প্রভৃতি।

খ) মানবিক সম্পদ - যে সম্পদ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বদ্ধ মানুষকে নিয়ে গড়ে ওঠে তাকে মানবিক সম্পদ বলে । উদাহরণ- জনসংখ্যা ,শ্রমশক্তি, কর্মদক্ষতা প্রভৃতি।

গ)সাংস্কৃতিক সম্পদ - মানুষের জ্ঞান, বুদ্ধি, অনুশাসন, শিক্ষা প্রভৃতির মাধ্যমে যে সম্পদ উদ্ভূত হয় তাকে সাংস্কৃতিক সম্পদ বলে। উদাহরণ- শিক্ষা, শিল্প, প্রযুক্তি,  উদ্ভাবনী শক্তি প্রভৃতি।


২)সম্পদের স্থায়িত্ব অনুসারে:- সম্পদের স্থায়িত্ব অনুসারে সম্পদকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
ক) অপূর্ণভব সম্পদ - প্রকৃতিতে যে সম্পদের পরিমাণ সীমাহীন নয় অথবা যে সম্পদকে ক্রমাগত ব্যবহার করলে শেষ হয়ে যায় সেইসব সম্পদকে  অপূর্ণভবব সম্পদ বলে। উদাহরণ - খনিজ তেল, কয়লা, তামা, সোনা, প্রভৃতি।
খ) পূর্নভবা সম্পদ - যে সমস্ত সম্পদ বরাবর ব্যবহার করা যায় অথবা বরাবর ব্যবহার করার ফলেও শেষ হয়না সেই সকল সম্পদকে পূর্নভব বা প্রবাহমান সম্পদ বলে। উদাহরণ - সূর্যকিরণ, বাতাস, নদী ও সমুদ্রের জল প্রভৃতি।


৩)সম্পদের জৈব বৈশিষ্ট্য অনুসারে:- সম্পদের জৈব বৈশিষ্ট্য অনুসারে সম্পদকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-

ক) জৈব সম্পদ - যে সমস্ত সম্পদ জীবজগৎ থেকে পাওয়া যায় সেই সকল সম্পদকে জৈব সম্পদ বলে । উদাহরণ - কাঠ, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ প্রভৃতি।

খ)অজৈব সম্পদ - যে সমস্ত সম্পদ প্রাণহীন বস্তু থেকে পাওয়া যায় সেই সমস্ত সম্পদকে অজৈব সম্পদ বলে। উদাহরণ - খনিজ পদার্থ, জল, অক্সিজেন, ইস্পাত প্রভৃতি।


৪)সম্পদের অবস্থান অনুসারে :- সম্পদের অবস্থান অনুসারে সম্পদকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা -

ক)সর্বত্রলভ্য সম্পদ - যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ পৃথিবীর সর্বত্র পাওয়া যায় সেই সকল সম্পদকে সর্বত্রলভ্য সম্পদ বলে ।উদাহরণ - বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন, সূর্যকিরণ প্রভৃতি।

খ) সহজলভ্য সম্পদ - যেসব সম্পদ পৃথিবীর সর্বত্র পাওয়া  না গেলেও বেশিরভাগ জায়গায় পাওয়া যায় সেই সকল সম্পদকে সহজলভ্য সম্পদ বলে। উদাহরণ - কৃষিজমি, জল, মানুষ প্রভৃতি।

) বিরল সম্পদ বা দুষ্প্রাপ্য সম্পদ - যেসব সম্পদ পৃথিবীর মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশে পাওয়া যায় তাকে বিরল বা দুষ্প্রাপ্য সম্পদ বলে। উদাহরণ - ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার টিন প্রভৃতি।

ঘ) অদ্বিতীয় সম্পদ - যে সম্পদ অতি বিরল এবং যে সম্পদকে পৃথিবীর একটি মাত্র স্থানে পাওয়া যায় তাকে অদ্বিতীয় সম্পদ বলে ।উদাহরণ - ক্রায়োলাইট নামক খনিজটি একমাত্র গ্রিনল্যান্ডে পাওয়া যায়।


৫)সম্পদের প্রাপ্তি বা অসমান  বন্টন অনুসারে:- সম্পদের প্রাপ্তি বা অসমান বন্টন অনুসারে সম্পদকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয় ।যথা-

ক) আঞ্চলিক সম্পদ- যে সম্পদের অবস্থান নির্দিষ্ট কোন ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ সেই সকল সম্পদকে আঞ্চলিক সম্পদ বলে ।উদাহরণ- পেট্রোলিয়াম, তামা, সোনা প্রভৃতি।

খ) সর্বব্যাপ্ত সম্পদ - যে সম্পদের প্রাপ্তি বা  যোগান কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় সেই সকল সম্পদকে সর্বব্যাপ্ত সম্পদ বলে। উদাহরণ -জল, বাতাস, সূর্যকিরণ প্রভৃতি।


৬)সম্পদের মালিকানার ভিত্তিতে:- সম্পদের মালিকানার ভিত্তিতে সম্পদকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-

ক) ব্যক্তিগত সম্পদ - যে সমস্ত সম্পদ ব্যক্তি মালিকানাধীন অর্থাৎ কোন ব্যক্তির অধিকার রয়েছে সেই সকল সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ বলে। উদাহরণ - কৃষকের জমি, বাড়ি, গাড়ি প্রভৃতি।

খ) সামাজিক সম্পদ - যে সম্পদ সমাজের অধীন অথবা মানব সমাজের চাহিদা মেটানো ও মঙ্গলের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে তাকে সামাজিক সম্পদ বলে। উদাহরণ- লাইব্রেরী, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল প্রভৃতি।

গ) রাষ্ট্রীয় সম্পদ - যে সমস্ত সম্পদ রাষ্ট্রের অধীনে থাকে বা রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সেই সকল সম্পদকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বলে। উদাহরণ - জাতীয় সড়ক পথ, রাজ্য সড়ক পথ, রেলপথ, তৈল ক্ষেত্র প্রভৃতি।

ঘ) আন্তর্জাতিক সম্পদ - যে সমস্ত সম্পদ সমগ্র বিশ্ববাসীর কল্যাণে নিয়োজিত এবং সারা পৃথিবীর উপকারে আসে তাকে আন্তর্জাতিক সম্পদ বলে। উদাহরণ - কুমেরু মহাদেশ, বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর, আন্তর্জাতিক সমুদ্র পথ প্রভৃতি।


৭)সম্পদের স্পর্শ যোগ্যতা ভিত্তিতে:- সম্পদের স্পর্শ যোগ্যতার ভিত্তিতে সম্পদকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা -

ক)বস্তুগত সম্পদ - যে সমস্ত সম্পদ স্পর্শযোগ্য এবং যে সমস্ত সম্পদের অস্তিত্ব আছে সেই সমস্ত সম্পদ কে বস্তুগত সম্পদ বা স্পর্শ যোগ্য সম্পদ বলে। উদাহরণ- খনিজ পদার্থ, জলবায়ু প্রভৃতি ।

খ)অবস্তুগত বা অস্পর্শনীয় সম্পদ - যে সমস্ত সম্পদ স্পর্শ যোগ্য নয় এবং মানুষের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল থেকে আরোহন করা হয় তাকে অবস্তুগত সম্পদ বলা হয় ।উদাহরণ - দক্ষতা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, আইন, নিরাপত্তা প্রকৃতি।


৮)সম্পদের উদ্ভব অনুসারে:- সম্পদের উদ্ভব অনুসারে সম্পদকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা -

ক)প্রাথমিক সম্পদ - যে সমস্ত সম্পদকে প্রকৃতি থেকে সরাসরি পাওয়া যায় তাকে প্রাথমিক সম্পদ বলে ।উদাহরণ- সৌরতাপ, জল, বাতাস প্রভৃতি ।

খ)বিকশিত সম্পদ - প্রকৃতি দত্ত যে সমস্ত সম্পদ কে মানুষের শ্রম ও দক্ষতার সাহায্যে আরো ব্যবহারযোগ্য সম্পদে পরিণত করা যায় তাকে বিকাশিত সম্পদ বলে। উদাহরণ - অপরিশোধিত খনিজ তেল থেকে আরোহন করা পেট্রোল ডিজেল কেরোসিন প্রভৃতি ।

গ)সম্ভাব্য সম্পদ- যে সমস্ত সম্পদের অস্তিত্ব ও অবস্থান জানা সত্ত্বেও নানান প্রাকৃতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কারণে তাদের পূর্ণ ব্যবহার আজও পর্যন্ত সম্ভব হয়ে উঠেনি তাকে সম্ভাব্য সম্পদ বলে। উদাহরণ- আফ্রিকার নানা দেশে জলবিদ্যুৎ বায়ু বিদ্যুৎ প্রভৃতিI




















Previous Post
Next Post
Related Posts