1st Unit Test, Class VIII Geography //অষ্টম শ্রেণী:- প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন

অষ্টম শ্রেণী
 প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
Class_8_Geography_1st_Unit_Test,Suggestion_8_1_Unit_Test



সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ (প্রতিটি প্রশ্নের মান 1)


১.সকল প্রকার মাধ্যমের মধ্য দিয়ে গতিশীল ভূমিকম্প তরঙ্গ টি হল - ক) P তরঙ্গ খ) S তরঙ্গ গ) L তরঙ্গ  ঘ )সকল প্রকার তরঙ্গ।
উত্তর:- ক) P তরঙ্গ।


২.বহিঃ কেন্দ্রমন্ডল ও নিফেসিমার মাঝে যে বিযুক্তি রেখা আছে তা হল- ক) লেহ্ ম্যান খ) রেপিট্টি গ) গুটেনবার্গ ঘ) মোহোরোভিসিক।
উত্তর:- গ ) গুটেনবার্গ।


৩.ভূত্বকের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে আছে - ক) সিলিকা খ) অভ্র গ) নাইট্রোজেন ঘ)অক্সিজেন।
উত্তর :- ক) সিলিকা।


৪.রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের গভীরতম কৃত্রিম গর্তটির গভীরতা - ক) 8কিলোমিটার খ ) 12কিলোমিটার গ) 16কিলোমিটার ঘ) 20কিলোমিটার।
উত্তর:-খ) 12কিলোমিটার।


৫.দাক্ষিণাত্য মালভূমি(Deccan Trap) সৃষ্টির কারণ - ক) বিদার অগ্ন্যুদগম খ) উদবেধী অগ্ন্যুদগম গ) ক্ষয়ীভবন ঘ)পাত সঞ্চালন।
উত্তর:- ক) বিদার অগ্ন্যুদগম।


৬.বজ্রপাতের দেশ বলতে বোঝায় - ক) মায়ানমার খ) নেপাল গ) ভুটান ঘ) শ্রীলংকা কে।
উত্তর :- গ) ভুটান কে।


৭.SAARC গোষ্ঠীর প্রথম অধিবেশন যে সালে হয় তা হল - ক) 1983 খ) 1984 গ) 1985 ঘ) 1996।
উত্তর:- গ)1985।


৮.মায়ানমারের দীর্ঘতম নদীটির নাম - ক) সিন্ধু খ) মানস গ) ইরাবতী ঘ) মেঘনা ।
উত্তর:- গ) ইরাবতী।


৯.হিমালয় পর্বত সৃষ্টি হয়েছে - ক) গঠনকারী পাত সীমানায় খ) বিনাশকারী পাত সীমানায় গ) নিরপেক্ষ পাত সীমানায় ঘ) কোনোটিই নয় ।
উত্তর :- খ) বিনাশকারী পাত সীমানায়।


১০.ভুটানের প্রধান নদী -ক) কালী গণ্ডকী খ) মানস গ) মেঘনা ঘ) মহাবলী গঙ্গা ।
উত্তর :- খ) মানস।


১১.ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে নির্গত ভূমিকম্পের তরঙ্গ হল - ক) প্রাথমিক তরঙ্গ খ) দ্বিতীয় পর্যায়ের তরঙ্গ  গ) পৃষ্ঠ তরঙ্গ ঘ) কোনোটিই নয় ।
উত্তর :- খ) দ্বিতীয় পর্যায়ের তরঙ্গ।


১২.সবচেয়ে বেশি অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ভূ-অভ্যন্তর  ভাগের স্তরটি হল - ক) শিলামন্ডল খ) গুরুমন্ডল গ) কেন্দ্রমন্ডল ঘ) ক্ষুব্ধ মন্ডল ।
উত্তর:-খ) গুরুমন্ডল।


১৩.মহাদেশ গুলি সরে যাওয়ার কথা বলেছেন - ক) পিঁচো  খ) উইলসন গ) ওয়েগনার ঘ) হেস ।
উত্তর :- গ) ওয়েগনার।


১৪.রাঁচি সহ সমস্ত ছোটনাগপুর অঞ্চল প্রধান - ক) গ্রানাইট খ) ব্যাসল্ট গ) মার্বেল ঘ) চুনাপাথর শিলা দ্বারা গঠিত।
উত্তর:-ক) গ্রানাইট।


১৫.জয়সালমীর এর সোনার কেল্লা -ক) কাদা পাথর খ) মার্বেল  গ) বেলে পাথর ঘ) চুনাপাথর দিয়ে গঠিত।
উত্তর:-গ) বেলেপাথর।


১৬.একটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ হল - ক) উরাল খ) হিমালয় গ) ফুজিয়ামা ঘ) ভীসুবিয়াস।
উত্তর:-ক) উরাল।


১৭.দারুচিনি দ্বীপ বলা হয় - ক) ভুটানকে খ) শ্রীলঙ্কাকে গ) মায়ানমারকে ঘ) পাকিস্তানকে।
উত্তর:-খ) শ্রীলঙ্কাকে।


১৮.কোন দেশকে প্রাচ্যের মুক্ত বলা হয়- ক) শ্রীলঙ্কা খ) বাংলাদেশ গ) মায়ানমার ঘ) ভূটান।
উত্তর:-ক) শ্রীলংকা।


১৯.কোন ধরনের আগ্নেয়গিরি থেকে ভবিষ্যতে অগ্নুৎপাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তা হল - ক) মৃত খ) জীবন্ত গ) সক্রিয় ঘ) অতি সক্রিয়।
উত্তর:-ক) মৃত।


২০.ভারতের একটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল হল - ক) হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল খ) দাক্ষিণাত্য মালভূমি অঞ্চল  গ) পূর্ব উপকূল ঘ) সমভূমি অঞ্চল ।
উত্তর :- ক) হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল।


২১.ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দূরত্ব- ক) 3670 কিলোমিটার খ) 6370 কিলোমিটার গ) 7630 কিলোমিটার ঘ) 8370 কিলোমিটার।
উত্তর:-খ) 6370 কিলোমিটার


২২.ভূমিকম্প কোন যন্ত্রের মাপা হয়? - ক) সিসমোগ্রাফ খ) ব্যারোমিটার গ) এনিমোমিটার  ঘ)হাইগ্রোমিটার ।
উত্তর :-ক) সিসমোগ্রাফ।


২৩.ব্যাসল্ট শিলার রূপান্তরিত রূপ হল - ক) নিস্ খ) মার্বেল গ) অ্যাস্ ফিবোলাইট ঘ) শিষ্ট।
উত্তর:- গ) অ্যাস্ ফিবোলাইট।


২৪.আঞ্চলিক পদ্ধতিতে রূপান্তর এর ফলে গঠিত সেটি হল - ক) ফিলাইট খ) মার্বেল গ) স্লেট ঘ) ডলরাইট।
উত্তর:-গ) স্লেট।


২৫.সার্ক or SAARC ( South Asian Association for Regional Co-operation ) সদর দপ্তর অবস্থিত - ক) দিল্লিতে  খ) ঢাকায় গ)কাঠমান্ডুতে ঘ) কলকাতায়।
উত্তর :- গ) কাঠমান্ডুতে।


২৬.চা উৎপাদনে অধিক উন্নত - ক) নেপাল  খ) শ্রীলঙ্কা গ) বাংলাদেশ ঘ) চীন ।
উত্তর :- গ) বাংলাদেশ।


২৭.গ্রানাইট ও ব্যাসল্ট শিলার মূল উপাদান - ক) কোয়ার্টাজ  খ) জিপসাম গ) মার্বেল ঘ ) মাইকা।
উত্তর:- ক) কোয়ার্টাজ।


২৮.চুনাপাথরের রূপান্তরিত রূপ হল- ক) গ্রাফাইট  খ) নিস্ গ) মার্বেল ঘ) শিস্ট ।
উত্তর :-গ) মার্বেল।


২৯.খাজুরাহোর মন্দির কোন পাথর দিয়ে তৈরি - ক) চুনাপাথর খ) বেলে পাথর গ) কাদা পাথর ঘ ) মার্বেল।
উত্তর :- খ) বেলে পাথর।


৩০.ভৌম জলের উৎস হল - ক) শিলামন্ডল  খ) অন্তঃগুরু মন্ডল গ) বহিঃগুরুমন্ডল ঘ) কেন্দ্র মন্ডল ।
উত্তর :- ক) শিলামন্ডল




নিচের বাক্যগুলি শুদ্ধ হলে ঠিক অশুদ্ধ হলে ভুল লেখ
(প্রতিটি প্রশ্নের মান 1)



১.পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ভারতের দুটি প্রতিবেশী দেশের সীমানা রয়েছে ।
উত্তর:- ভুল।


২.পাকিস্তানের প্রধান নদীটির একটি অংশ ভারতীয় দেখা যায়।
উত্তর:- ঠিক।


৩.বাংলাদেশের তিন দিক ঘিরে আছে ভারতের সীমানা ।
উত্তর:- ঠিক।


৪.মায়ানমার থেকে ভারতে প্রধান রপ্তানি দ্রব্য হল গ্রাফাইট।
উত্তর :-ভুল।


৫.সামুদ্রিক শৈলশিরা অপসারী পাত সীমানায় গড়ে ওঠে ।
উত্তর :- ঠিক।


৬.আগ্নেয় শিলার অপর নাম প্রাথমিক শিলা ।
উত্তর :-ঠিক।


৭.বেলে পাথরের রুপান্তরিত রুপ গ্রাফাইট ।
উত্তর :-ভুল।


৮.চিপকো আন্দোলন জল  সংরক্ষণের জন্য ঘটেছিল।
উত্তর :-ভুল।


৯.জাপানের ফুজিয়ামা একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি।
উত্তর:- ঠিক।


১০.মায়ানমারকে  প্যাগোডার দেশ বলা হয়।
উত্তর:- ঠিক।



শূন্যস্থান পূরণ করো (প্রতিটি প্রশ্নের মান 1)


১.পৃথিবীতে _________টি বড় পাত আছে ।
উত্তর:- সাতটি


২.মায়ানমারের পপো একটি _________আগ্নেয়গিরি ।
উত্তর:- মৃত।


৩.পৃথিবীর উচ্চতম আগ্নেয়গিরি _______।
উত্তর :- মৌনাকিয়া।


৪.শিলার প্রবেশ্যতা বেশি হলে জল ধারণ ক্ষমতা _______।
উত্তর :-কমে।


৫.জিপসাম দেখাযায়________ সিলায়।
উত্তর :- পাললিক শিলা।


৬.________সেগুন কাঠের দেশ বলা হয়।
উত্তর:- মায়ানমার কে।


৭.মাটির নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ কেটে কৃষি ক্ষেত্রে জল নিয়ে যাওয়ার প্রথাকে ________বলে।
উত্তর :-  ক্যারেজ ।



বাম দিকের সাথে ডান দিক মিলিয়ে লেখ (প্রতিটি প্রশ্নের মান 1)


১.

বাম দিক
ডান দিক
1.গুটেনবার্গ বিযুক্তি
A)CrFaSiMa ও NiFaSiMa
2.লেম্যান বিযুক্তি
B)গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডল
3.মোহ বিযুক্তি
C)সিয়াল ও সিমা
4. কনরাড বিযুক্তি
D)গুরুমন্ডল ও ভূত্বক
5.রেপিট্টি বিযুক্তি
E)বহিঃ কেন্দ্রমন্ডল ও অন্তঃকেন্দ্র মন্ডল

উত্তর:-1-B,2-E,3-D,4-C,5-A।



২.

বাম দিক
ডান দিক
1)মহীসঞ্চালন
A)ম্যাকেঞ্জি
2)মহীখাত
B)আলফ্রেড ওয়েগনার
3)পাত সংস্থান
C)আর্থার হোমস
4)পরিচলন স্রোত
D)কোবার
5)পাতের চলন
E)লি পিঁচো

উত্তর:- 1-B,2- D,3- E,4- C,5- A


৩.
বাম দিক
ডান দিক ডান দিক
1) আম্লিক আগ্নেয় শিলা
A)তুফ
2)মধ্যবর্তী আগ্নেয় শিলা
B)ব্যাসাল্ট
3)ক্ষারকীয় আগ্নেয় শিলা
C)গ্রানাইট
4)অতি ক্ষারকীয় আগ্নেয় শিলা
D)ডালোরাইট
5)পাইরোক্লাস্ট শিলা
E)পেরিডোটাইট

উত্তর:- 1-C,2-D,3-B,4-E,5-A


দু এক কথায় উত্তর দাও (প্রতিটি প্রশ্নের মান 1)


১.ভারতের একটি প্রতিবেশী দেশের নাম লেখ যার বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পূর্ণভাবে ভারতের স্থলপথ এর উপর নির্ভরশীল।
উত্তর :-নেপাল।


২.ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশ মাটিতে সুরঙ্গ কেটে জল সেচের বিশেষ পদ্ধতি প্রচলিত আছে ?
উত্তর :-পাকিস্তান।


৩.মহীসঞ্চরণ তত্ত্ব অনুসারে  প্যানজিয়ার উত্তরের অংশকে কি বলে?
উত্তর:- লরেশিয়া Laurasia।


৪.কোন দেশ ভূতাপ শক্তির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি ?
উত্তর :- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র।


৫.ভুটানের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি?
উত্তর:- কুলাকাংড়ি (7554 মিটার)।


৬.পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ টি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর:- নেপালে।


৭.ভারত ও শ্রীলঙ্কা কোন প্রণালী দ্বারা বিচ্ছিন্ন ?
উত্তর :-পক প্রণালী।


৮.নেপালের প্রধান নদীর নাম কি ?
উত্তর:- কর্ণালী।


৯.কোন বন্দর দিয়ে নেপালের বৈদেশিক বাণিজ্য সংঘটিত হয় ?
উত্তর :-কলকাতা বন্দর।


১০.পশ্চিমবঙ্গের কোথায় উষ্ণ প্রস্রবণ আছে ?
উত্তর :-বক্কেশ্বর।


১১.ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে আসা আগ্নেয় শিলাকে কী বলে ?
উত্তর :-নিঃসারী আগ্নেয় শিলা।


১২.মহাদেশীয় ভূত্বক এর আরেক নাম কি?
উত্তর :-শিয়াল।


১৩.পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে নানান তথ্য কিভাবে জানা সম্ভব হয়েছে?
উত্তর :- ভূমিকম্প তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে।


১৪. খনিজের কাঠিন্য পরিমাপের স্কেল কে কি বলে?
উত্তর:- মোহ্ স্কেল।


১৫.দীর্ঘ ফাটল বরাবর যে অগ্নিৎপাত হয় তাকে কি বলে?
উত্তর :-বিদার অগ্ন্যুদগম।


সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান 2)


১.অভিসারী ও অপসারী পাত সীমানায় পাতের চলন এর প্রভাবে কি ঘটনা ঘটে?
উত্তর:- অভিসারী পাত সীমানায় পাতের চলন এর ফলে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয় এবং অপসারী পাত সীমানায় পাতের চলন এর ফলে মধ্য সামুদ্রিক শৈলশিরা গঠন করে।


২.শ্রীলংকা কি কি পণ্য ভারতে রপ্তানি করে ?
উত্তর :- চিনি, ইস্পাত, কয়লা, পাটজাত দ্রব্য, বস্ত্র, ওষুধ প্রভৃতি।


৩.বহির্জাত শক্তি কাকে বলে?
উত্তর :-যেসব প্রাকৃতিক শক্তি ভূপৃষ্ঠে প্রতিনিয়ত কাজ করে ভূমিরূপের বৈচিত্র তাদের বহির্জাত শক্তি বলে।


৪.জীবাশ্ম(Fossil) কাকে বলে?
উত্তর:- পাললিক শিলার মধ্যে মৃত সামুদ্রিক প্রাণী, উদ্ভিদ প্রভৃতির ছাপ বা দেহাবশেষ কে জীবাশ্ম বলে।


৫.পৃথিবীতে কয়টি পাত আছে? প্রধান পাতা গুলি কি কি?
class 8 geography 1st unit test,geography suggestion class 8

উত্তর:- পৃথিবীতে মোট 6 টি বড় পাত এবং কুড়িটি মাঝারি পাত ও ছোট পাত রয়েছে। ছটি বড় পাত হল - ইউরেশিয় পাত, ইন্দো- অস্ট্রেলিয় পাত, আমেরিকান পাত, প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত, আফ্রিকা পাত এবং আন্টার্টিকা পাত।


৬.আ আ আর পা হো হো কি?
উত্তর:- ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি থেকে গাঢ়,  সান্দ্র একরকম লাভা নির্গত হয়। হাওয়াই দ্বীপের ভাষায় এর নাম আ আ।
class 8 geography
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের আগ্নেয়গিরি গুলো থেকে অত্যন্ত পাতলা লাভা বেরিয়ে বহুদূর প্রবাহিত হয়। হাওয়াই দ্বীপের ভাষায় যার নাম পা হো হো।


সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা মূলক উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান 3)


১.প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রাখার দুটি প্রয়োজনীয়তা  লেখ।
উত্তর :- প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রয়োজন, কারণ -
1) বাণিজ্যিক আদান প্রদান:- বিশ্বের কোনো দেশেই তার সব প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন করতে পারে না, আবার দেশ যা কিছু উৎপাদিত হয় তার সবটাই সেদেশ ব্যবহার করতে পারেনা। তাই  পণ্যদ্রব্য আদান-প্রদান বা ব্যবসা-বাণিজ্যের লেনদেনের কারণে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা খুব প্রয়োজন।

2) জল সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার :- ভারতে এমন অনেক নদী আছে যেগুলির ঊর্ধ্ব প্রবাহ বা নিম্ন প্রবাহ প্রতিবেশী দেশগুলির অন্তর্গত ।অর্থনৈতিক উন্নয়নে এইসব নদীতে  সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের জন্য ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন।


২. সক্রিয়তার ভিত্তিতে আগ্নেয়গিরির শ্রেণীবিভাগ কর?
উত্তর:- সক্রিয়তার ভিত্তিতে আগ্নেয়গিরিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
ক) সক্রিয় আগ্নেয়গিরি:- যে আগ্নেয়গিরি গুলো থেকে অবিরাম অগ্নুৎপাত হয়ে চলেছে অর্থাৎ বর্তমানে অগ্নুৎপাত হয় তাকে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলে। উদাহরণ সিসিলি দ্বীপের এটানা, লিপারি দ্বীপের স্ট্রম্বলি, হাওয়াই দ্বীপের মৌনালোয়া, ভারতের ব্যারেন প্রভৃতি। 
খ) সুপ্ত আগ্নেয়গিরি:- যেসব আগ্নেয়গিরিতে বর্তমানকালে অগ্নুৎপাত হয়নি, কিন্তু ভবিষ্যতে অগ্নুৎপাত হবার সম্ভাবনা আছে ,তাদের সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলে। উদাহরণ- জাপানের ফুজিয়ামা, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া প্রভৃতি।
গ) মৃত আগ্নেয়গিরি:- যেসব আগ্নেয়গিরি ভবিষ্যতের সক্রিয় ছিল কিন্তু বর্তমানে তার সক্রিয়তার কোন চিহ্ন নেই অর্থাৎ ভবিষ্যতে অগ্নুৎপাত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই সেইসব আগ্নেয়গিরিকে মৃত আগ্নেয়গিরি বলে। উদাহরণ -মেক্সিকোর পারকুটিন, মায়ানমারের পপো প্রভৃতি।


৩. মায়ানমারের অরণ্য সম্পদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তর:- মায়ানমার বনজসম্পদ খুবই সমৃদ্ধ। এই দেশের 67 % অঞ্চল অরণ্যাবৃত। মায়ানমারের বার্মাটিক (সেগুন কাঠ) হল পৃথিবী বিখ্যাত। এছাড়াও এখানে সাল, পোমা প্রভৃতি মূল্যবান কাঠের বনভূমি দেখা যায়। কাঠ সম্পদ ছাড়াও মায়ানমার বাঁশ ও বেতের জন্য বিখ্যাত। এখানকার ম্যানগ্রোভ অঞ্চল থেকে পাতা, মধু প্রভৃতি সংগ্রহ করা হয়।


৪.. উদাহরণসহ শিলার শ্রেণীবিভাগ কর ।
উত্তর:- এক বা একাধিক খনিজের সমন্বয়ে গঠিত যেসব উপাদান দিয়ে ভূত্বক গঠিত, সেগুলিকে সাধারণভাবে শিলা বলে।

শ্রেণীবিভাগ :-উৎপত্তি অনুসারে শিলাকে প্রধানত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় । যথা - ক)আগ্নেয় শিলা খ) পাললিক শিলা এবং গ) রূপান্তরিত শিলা।

ক) আগ্নেয় শিলা (Igneous Rock) :- ভূ-অভ্যন্তরের উত্তপ্ত আগ্নিয় পদার্থ , যেমন ম্যাগমা এবং ভূ-পৃষ্ঠে নির্গত লাভা জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি হয়েছে, তাকে আগ্নেয় শিলা বলে। উদাহরণ - ব্যাসল্ট, গ্রানাইট প্রভৃতি।
খ) পাললিক শিলা (Sedimentary Rock) :- সাগর বা মহাসাগরের তলদেশে বহুদিন ধরে পলিরাশি সঞ্চিত হলে, উপরে জলের চাপ ও পলিরাশির  চাপ, নিচের ভূ-অভ্যন্তরের তাপ এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পরাস্তর গুলি জমাট বেঁধে যে সৃষ্টি হয় তাকে পাললিক শিলা বলে। যেমন - চুনাপাথর, কাদা পাথর, বেলেপাথর ইত্যাদি।
গ )রূপান্তরিত শিলা(Metamorphic Rock):- অনেক সময় ভূত্বকের প্রচণ্ড চাপ ও তাপের প্রভাবে আগ্নেয় শিলা ও পাললিক শিলা পরিবর্তিত হয় সম্পূর্ণ নতুন ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম বিশিষ্ট আর এক ধরনের শিলায় রূপান্তরিত হয় ।পূর্বের রূপ বা অবস্থানের পরিবর্তন হয় বলে এই শিলাকে রূপান্তরিত শিলা বলে ।উদাহরণ - মার্বেল, স্লেট,  নিস্ প্রভৃতি।


রচনাধর্মী প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান 5)


১.1. চিত্রসহ শিলাচক্র সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তর:- অগ্ন্যুদগম এর মাধ্যমে বা ভূপৃষ্ঠে কোন দুর্বল ছিদ্রপথে ভূপৃষ্ঠের লাভার বেরিয়ে এসে অথবা ভূ-অভ্যন্তরে শীতল কঠিন হয়ে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি করে। পরে এই শিলা নদী,বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত ও অপসারিত হয় কোন সমুদ্র বা নদীর তলদেশে বহু বছর ধরে সঞ্চিত ও কঠিন হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি করে । আগ্নেয় শিলা ও পাললিক শিলা ভীষণ তাপ, চাপ ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে পরিবর্তিত হয়ে



রূপান্তরিত শিলা পরিণত হয়। আবার বহু বছর পর এই তিন ধরনের শিলা ভূআলোড়ন এর ফলে ভূগর্ভে প্রবেশ করলে  ম্যাগমায় পরিণত হয়। এই ম্যাগমা থেকে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি হয়। আবার কখনো রূপান্তরিত শিলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত ও অপসারিত হয় নদী বা সমুদ্র  তলদেশে সঞ্চিত হয় ও জমাট বেঁধে পাললিক শিলা তৈরি করে। প্রকৃতিতে শিলার উৎপত্তি ও এক শিলা থেকে অন্য শিলার রূপান্তর একটি নির্দিষ্ট নিয়মে চক্রাকারে আবর্তিত হয়ে চলেছে। একেই শিলাচক্র বলা হয়।


২.আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য লেখ।( Characteristics of Igneous Rock)
উত্তর :-আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য গুলি হল --
A)প্রাথমিক শিলা:- এই শিলা প্রথমে সৃষ্টি হয়েছে বলে একে প্রাথমিক শিলা বলা হয়।
B) স্ফটিকার:- উত্তপ্ত পদার্থ জমাট বেঁধে সৃষ্টি হয় বলে এই শিলা কাঁচের মতো সস্ফটিকার  হয়।
C) অস্তরীভূত:- এই শিলায় কোন স্তর থাকে না, তাই একে অস্তরীভূত শিলা বলে।
D) কঠিন :-এই শিলা কঠিন বলে সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না।
E) জীবাশ্ম হীন :-এই শিলায় জীবাশ্ম থাকে না।


৩.মহাদেশীয় ভূত্বক( Continental Crust)ও মহাসাগরীয় ভূত্বক ( Oceanic Crust)এর মধ্যে পার্থক্য লেখ।
উত্তর:-
বিষয়
মহাদেশীয় ভূত্বক
মহাসাগরীয় ভূত্বক
শিলা
গ্রানাইট জাতীয় লঘু আম্লিক শিলা
ব্যাসল্ট জাতীয় গুরু  ক্ষারকীয় শিলা
গভীরতা
গড় গভীরতা বেশি(30কিমি)
গড় গভীরতা কম (মাত্র 6-7 কিমি)
বয়স
60 কোটি  বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছে
মাত্র 1.4 বছর প্রাচীন
উপাদান
গ্রানোডোরাইট, কোয়ার্টজ অ্যামফিবোলাইট 
ব্যাসল্ট, পেরিডোটাইট
ঘনত্ব
গড় ঘনত্ব 2.7 গ্রাম/ সেমি³ 
গড় ঘনত্ব 2.95 গ্রাম/ সেমি³


৪.অভিসারী পাত সীমানায় সংগঠিত ভূগাঠনিক প্রক্রিয়ার বিবরণ দাও ।
উত্তর:- অভিসারী পাত সীমানায় প্রতিনিয়ত ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাত দেখা যায়। দুটো পরস্পর মুখেই পাত সামুদ্রিক হলে তাদের উপর পলি ভাঁজ খেয়ে দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ সৃষ্টি হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূল বরাবর জাপান ও সন্নিহিত দ্বীপপুঞ্জ এভাবে গড়ে উঠেছে। পাতা দুটো একটি সামুদ্রিক ও আর একটি মহাদেশীয় হলে মাঝের পলি ভাঁজ খেয়ে ভঙ্গিল পর্বত শ্রেণী সৃষ্টি করে। আমেরিকার রকি ও আন্দিজ পর্বতমালা এভাবে সৃষ্টি হয়েছে।আবার পাত দুটো মহাদেশীয় হলে সংঘর্ষের ফলে মাঝের সংকীর্ণ সমুদ্রের পলি ভাঁজ খেয়ে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি করে। যেমন ইউরেশিয়া ও ভারতীয় পাত্র মাঝখানে হিমালয় পর্বতের সৃষ্টি ।


৫.উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে আগ্নেয় শিলার শ্রেণীবিভাগ করা।
উত্তর:- উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে আগ্নেয় শিলাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ক) নিঃসারী আগ্নেয় শিলা এবং খ)উদবেধী আগ্নেয় শিলা।

ক) নিঃসারী আগ্নেয় শিলা:- ভূ-অভ্যন্তরের অধিক চাপে উত্তপ্ত গলিত  ম্যাগমা ভূত্বকের কোন দুর্বল ফাটল দিয়ে ভূপৃষ্ঠে লাভা রূপে বেরিয়ে এসে, শীতল ও কঠিন হয়ে যে আগ্নেয় শিলা সৃষ্টি করে তাকে নিঃসারী আগ্নেয় শিলা বলে। যেমন- ব্যাসল্ট, অবসিডিয়ান।
          শ্রেণীবিভাগ -উৎপত্তির তারতম্য অনুসারে নিঃসারী শিলা কে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা যায়-

i) লাভা শিলা- ভূগর্ভের  ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের কোন ফাটল দিয়ে বেরিয়ে আসার পর জমাট বেঁধে যে সৃষ্টি হয়, তাকে লাভ আছে বলে ।যেমন - ব্যাসল্ট।

ii) পাইরোক্লাস্ট শিলা - আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয়গিরির ছিদ্রপথের চারপাশে পূর্বের জমে থাকা কঠিন লাভা, ফিল্ডার, ভষ্ম  প্রভৃতি বাইরে বেরিয়েছে আসে এবং কাল ক্রমে এগুলি সঞ্চিত হয় যে শিলার সৃষ্টি করে তাকে পাইরোক্লাস্ট শিলা বলে। উদাহরণ- তুফ।

খ) উদবেধী আগ্নেয় শিলা:-  আবার ভূপৃষ্ঠের গলিত ম্যাগমা ভূত্বকের দুর্বল ফাটল বা ছিদ্রের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে না পেরে ভূ-অভ্যন্তরে ধীরে ধীরে শীতল ও কঠিন হয়ে যে সৃষ্টি করে তাকে উদবেধী আগ্নেয় শিলা বলে ।যেমন -গ্রানাইট, ডোলোরাইট প্রভৃতি।
     শ্রেণীবিভাগ - উদবেধী শীলাকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়-

 i) পাতালিক শিলা- যখন  ম্যাগমা ভূগর্ভের অনেক নিচে বহুকাল ধরে ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে কঠিন শিলায় পরিণত হয়, তখন তাকে পাতালিক শিলা বলে। যেমন- গ্রানাইট।

ii) উপ পাতালিক শিলা- ভূগর্ভের খানিকটা নিচে ভূপৃষ্ঠের প্রায় কাছাকাছি কোন ফাটলের মধ্যে ম্যাগমা বা উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ঠান্ডা হয়ে জমাট বেঁধে যে  শিলার সৃষ্টি হয় তাকে উপ পাতালিক শিলা বলে ।যেমন -ডোলোরাইট।